গল্প

চরকপুজা


বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলা। নদী হাওড় ও অসংখ্য চা বাগানে ঘেরা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় এই জেলা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ........................শাহ্‌ মোস্তফার মাঝার।


মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে প্রায়............কিঃমিঃ ............(দিক)  রয়েছে সাধুহাটী গ্রাম।কথায় আছে এই গ্রাম বাইশ জমিদারের গ্রাম। বাইশ জমিদারদের মধ্যে এই জমিদার বাড়িটি অন্যতম। অতি প্রাচীন একটি লোকোৎসবের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দিনে দিনে ক্ষয় হতে থাকা এই বাড়িটি। প্রাচীন কাল থেকেই এখানে হয়ে আসছে চড়ক পুজা।

আধুনিকতার আগ্রাসন সত্ত্বেও লৌকিক আচার অনুষ্টানের রীতি এখনো টিকে আছে গ্রামাঞ্চনলে।

চড়ক পূজার মতো একটি লৌকিক অনুষ্টান,আজও বহু কষ্টে যারা লালন-পালন করে আসছেন তারা সনাতন হিন্ধু ধর্মের নিন্ম বর্ণের অবহেলিত শব্দকর সম্প্রদায়।
নৃতাত্ত্বিক  গোষ্ঠী শব্দকর সনাতন হিন্ধু ধর্মের একটি প্রাচীন সম্প্রদায়। চড়ক পূজা সনাতন হিন্ধু ধরমালম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। হিন্ধু সৌর পঞ্জিকার তিথি নক্ষত্র ও তারিক অনুযায়ী চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুষ্টিত হয়ে থাকে এই চড়ক পূজা। আর এই চড়ক পূজা উপলক্ষে এখানে বসে চড়ক মেলা। চৈত্র মাস প্রবেশ করতেই শুরু হয়ে যায় চড়ক পূজার তোড়-জোড়। তাই শিব-গৌরীর  সঙ সাঁজিয়ে, পুরো মাস জুড়েই চলে গ্রামে গ্রামে নৃত্তের আয়োজন।

পূজার আগের রাতে হয়ে যায় জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর কালী নৃত্য।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দলে দলে জমতে থাকে উৎসাহী মানুষজন।
নির্দিষ্ট স্থানে পূজার আনুষ্টানিকতা সেরে খোল-করতাল আর ডঙ্খা সহযোগে সন্ন্যাসীরা নৃত্য মঞ্চে প্রবেশ করেন।